প্রতিবাদী লেখক|মোঃ কামরুল খান

কথাই আছে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড কিন্তু, বর্তমান সময় শিক্ষরাই সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান সময় শিক্ষার মান উন্নয়ন ও দেশকে আরো উন্নত ও শক্তিশালী করতে হলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও শিক্ষকদের সম্মান আরো বৃদ্ধি করতে হবে ।

কিন্তু দিন দিন শিক্ষার মান নিম্নমানের ও শিক্ষকদের সম্মানটুকু ধুলোর সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।
বর্তমান সময়ে শিক্ষায় নতুন প্রজন্মের যুবক সমাজ শিক্ষায় আসতে যাচ্ছে না ।
এর একটাই মাত্র কারণ শিক্ষা পেশায় এসে বর্তমান মেধাবী প্রজন্ম যুবক সমাজেরা লাঞ্চিত হতে চায় না।

এই সোনার বাংলাদেশে লাঞ্ছিত অপমানিত হচ্ছে তাই বর্তমান মেধাবী যুবক সমাজেরা শিক্ষক পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এর একটি মাত্রই কারণ শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ অবহেলার কারণেই।

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও আমাদের প্রাণ প্রিয় মমতাময়ী মা জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনি বলেছেন
শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, এই স্লোগানটি আজ মাঠে ঘাটে হাট বাজারে গ্রাম গঞ্জে শহরে বেজে উঠতে হলে একটাই মাত্র সমাধান সকল শিক্ষাব্যবস্থা একযোগে জাতীয়করন করতে হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার মান ও শিক্ষার গুণগত মান ও শিক্ষকদের সম্মান টুকু আজ বিচলিত হতে চলেছে, আপনি পারেন শিক্ষার মান ও শিক্ষকদের সম্মান টুকু ফিরিয়ে দিতে ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই সোনার বাংলাদেশ আপনার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদ বোনাস হিসেবে তারা পান ১০০% আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ঈদ বোনাস হিসেবে পান মাত্র-২৫% যে ঈদ বোনাস দিয়ে বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধ গতির কারণে শিক্ষকদের পরিবারের ছেলেমেয়েদের ঈদের জামা কাপড় কিনে আনা সম্ভব হয় না।

বর্তমান সময়ে ভাবতে অবাক লাগে যে দেশ যখন ডিজিটাল হিসেবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই সময় কিছু কুচক্র মহল ও আমলাদের কারণে আজ শিক্ষকরা সব থেকে বড় ক্ষতিগ্রস্ত।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনি কখনো কি ভেবে দেখেছেন একজন শিক্ষক সামান্য বেতনে চাকরি করে মাসে সে তারা দুটো টাকা হাতে নিয়ে পরিবারের কাছে যায়। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী হাসিনা এই সকল শিক্ষকদের এই সামান্য বেতন ভাতা পেয়ে হা হা করে তাদের সংসার পরিবার নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার শিক্ষক সমাজের যে সামান্য একটি বাড়ি ভাড়া চিকিৎসা ভাতা দেন যে বাড়িভাড়া দেন তাতে করে একটা গ্রাম গঞ্জের একটা বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায় না।

তারপরও আপনি যেটুকু দেন সেটুকু নিয়ে তারা খুব আনন্দিত উল্লাসিত।

বর্তমান সময়ে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জীবন খুব কষ্ট ময় জীবন। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জীবনে নেই কোন শখ । শিক্ষকদের নেই ছেলেমেয়েদের ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করানোর সুযোগ।সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতন শিক্ষকদের নেই কোন রেশনের সুযোগ । শুধুই আছে শিক্ষকদের জীবনের একটি মাত্র নাম মাস্টারমশাই তাও বর্তমান সময়ে শিক্ষকরা যেখানে সেখানে ছাত্র-ছাত্রীর হাতে ও কমিটির হাতে অন্য জায়গায় লাঞ্চিত হচ্ছে। আসলে বর্তমান শিক্ষা একটা অদ্ভুত হয়ে দাঁড়িয়েছে এর একটা মাত্রই কারণ যে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ না হওয়ার কারণ।

তারপরেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের সন্তান মনে করে হাসিখুশি ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে পাঠ দান দিয়ে যাচ্ছেন।
একজন শিক্ষক কি পেল শিক্ষাজীবনে শিক্ষকতায় এসে কিছুই পেল না ।

শিক্ষা পেশা ছেড়ে যখন এক জন শিক্ষক অবসরে যান যেটুকু সামান্য অর্জিত টাকা অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্যাস্ট তাও আবার আমলাদের হাতে লুটপাট হয়ে যায়।

একজন শিক্ষক তার সামান্য অর্জিত বেতন থেকে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে টাকা রাখেন। যখন ঐ একজন শিক্ষক চাকরির অবসর শেষে ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা গুলো উঠাতে জান তখন ঐ শিক্ষকের ঘুষ দুর্নীতির আখড়া হয়ে সেই শিক্ষকের অবসর সুবিধা বোর্ড এর ইটের দেয়ালে মাথা ঠুকতে ঠুকতে ঘুষ দিতে দিতে অনেক শিক্ষক মৃত্যুবরণ করেন,তার পড়ো অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের এর টাকা গুলো হাতে পৌঁছায় না।
তাহলে একজন শিক্ষক সারা জীবন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তার প্রাণপ্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদান করে কি পেল?

জাতির কাছে এটাই সকল শিক্ষকের প্রশ্ন সেই সকল শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করে আজ আপনি আপনার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বড় বড় পদে এসেছেন।
কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই সকল শিক্ষক সমাজেরা আপনাদের শিক্ষাদান করে কিভাবে জীবন যাপন চলছে সামান্য ২৫% ঈদ বোনাস নিয়ে কিভাবে তাদের পরিবারের নিয়ে ঈদ উদযাপন চলছে।

অবসর সুবিধা বোর্ড কল্যাণ ট্যাস্টে নামে দুর্নীতি বন্ধ হোক শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ ঘোষণা করা হোক।
শিক্ষার মান গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য একমাত্র সমাধান সকল শিক্ষা ব্যবস্থায় একযোগে জাতীয়করণ ঘোষণা।
অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্যাস্ট দুর্নীতি থেকে মুক্তি চাই? শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ ঘোষণা চাই?
শিক্ষকদের সম্মান টুকু মুজিববর্ষে ফিরে চাই।